মালহামা প্যাকেজ

মালহামা প্যাকেজ

৳ 1,000.00

হযরত মুহাম্মদ ﷺ দাজ্জাল সম্পর্কে আমাদের অবহিত করেছেন। রাসুল ﷺ বলেন, দাজ্জাল হবে এক চোখ বিশিষ্ট। তার সাথে প্রবাহমান দুটি নহর থাকবে। একটি হবে দৃশ্যত সাদা পানি এবং অপরটি দৃশ্যত লেলিহান অগ্নি। যদি কেউ সুযোগ পায় সে যেন ঐ নহরে প্রবশে করে যাকে দৃশ্যত আগুন মনে হবে এবং চক্ষু বন্ধ করে মাথা অবনমিত করে সে যেন তা থেকে পানি পান করে। তা হবে ঠান্ডা পানি। সুতরাং দাজ্জালের তৈরীকৃত বিষয় দৃশ্যত যা বাস্তবে তা নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি শুধুমাত্র বাহ্যিক অবস্থা বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সে ভুল করবে কারণ সে দাজ্জালের মত একচোখ দিয়ে দেখবে। সুরা কাহাফে বর্ণিত মুসা নবী ও খিজির এর ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে একমাত্র আল্লাহর বান্দাগণ দুচোখ দিয়ে দেখে। তারা বাহ্যিক চক্ষু এবং অন্তর চক্ষু উভয়টি দ্বারা দাজ্জালের এযুগে প্রতিটি বস্তুর ঘটনার বাস্তব অবস্থা নিরূপন করতে পারে। দাজ্জাল নিয়ন্ত্রিত এ সময় তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। বই-১: দাজ্জাল : কুর’আন ও ইতিহাসের সূচনা শেষ জামানায় আপাত দৃশ্যমান বস্তু এবং বাস্তব বস্তুর মধ্যে পার্থক্য করায় মানবিক ক্ষমতা দাজ্জাল নষ্ট করে দেবে। হযরত মুহাম্মদ ﷺ দাজ্জাল সম্পর্কে আমাদের অবহিত করেছেন। রাসুল ﷺ বলেন, দাজ্জাল হবে এক চোখ বিশিষ্ট। তার সাথে প্রবাহমান দুটি নহর থাকবে। একটি হবে দৃশ্যত সাদা পানি এবং অপরটি দৃশ্যত লেলিহান অগ্নি। যদি কেউ সুযোগ পায় সে যেন ঐ নহরে প্রবশে করে যাকে দৃশ্যত আগুন মনে হবে এবং চক্ষু বন্ধ করে মাথা অবনমিত করে সে যেন তা থেকে পানি পান করে। তা হবে ঠান্ডা পানি। সুতরাং দাজ্জালের তৈরীকৃত বিষয় দৃশ্যত যা বাস্তবে তা নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি শুধুমাত্র বাহ্যিক অবস্থা বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সে ভুল করবে কারণ সে দাজ্জালের মত একচোখ দিয়ে দেখবে। সুরা কাহাফে বর্ণিত মুসা নবী ও খিজির এর ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে একমাত্র আল্লাহর বান্দাগণ দুচোখ দিয়ে দেখে। তারা বাহ্যিক চক্ষু এবং অন্তর চক্ষু উভয়টি দ্বারা দাজ্জালের এযুগে প্রতিটি বস্তুর ঘটনার বাস্তব অবস্থা নিরূপন করতে পারে। দাজ্জাল নিয়ন্ত্রিত এ সময় তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। অন্যের উপর শাসন চালানোর লালসাময় নিষিদ্ধ বৃক্ষের নিকট গমনের উপর ঐশ্বরিক নিষেধাজ্ঞা জারি দ্বারা ইতিহাসের সূচনা ঘটে। ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটছে পৃথিবীর মঞ্চে আবির্ভূত নতুন অভিনেতার মাধ্যমে, যে পৃথিবী শাসনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী উপনিবেশিক লালসা প্রদর্শন করে। ঐ নতুন অভিনেতা এক অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা ধারণ করেছে এবং ইতোমধ্যে সর্বদিকে ছড়িয়ে পড়া ইয়াজুজ ও মাজুজদের মাধ্যমে উক্ত ক্ষমতা দ্বারা সে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে। এরপর সে ইহুদিদের জন্য পবিত্রভূমিকে মুক্ত করার মিশনে নামে এবং ঐশ্বরিক আজ্ঞাবলে পবিত্রভূমি থেকে দুই হাজার বছরের নির্বাসনের পর, পবিত্রভূমিতে তারা নিজেদের অধিকারের দাবি নিয়ে ফিরে আসে এবং পবিত্রভূমিতে ইসরাইলি রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ রহস্যজনক নতুন অভিনেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাক্স আমেরিকা’-কে [আমেরিকান সাম্রাজ্যকে] ইসরাইলের ‘প্যাক্স জুডাইকা’ [ইহুদি সাম্রাজ্যের] মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করতে যাচ্ছে। ইসলামি এসক্যাটলজির আলোকবর্তিতাস্বরূপ এই গ্রন্থ উক্ত আজব ও রহস্যজনক নতুন অভিনেতাকে সনাক্ত করেছে, যে শেষ সময়ে পৃথিবীর মঞ্চে কেন্দ্রীয় চরিত্র দখল ক’রে আছে এবং যে আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতাকে জন্ম দিয়েছে – সে হচ্ছে: ভন্ড মসিহ দাজ্জাল। বই-২: ইসলামের দৃষ্টিতে আধুনিক যুগে ইয়াজুজ ও মাজুজ মূল কভার ডিজাইনটি মিসরের দালাল ফিদা’র করা। এই ডিজাইনটি একটি হাদিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে: ইয়াজুজ ও মাজুজ গ্যালিলি সাগর অতিক্রম করবে এবং ঐ সাগরের সবটুকু পানি “পান” করবে। কভার ডিজাইনের ফাটল ধরা উপকূল গ্যালিলি সাগরের শুকিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা খুব শীঘ্রই ঘটতে যাচ্ছে। সাগরটি যখন শুকিয়ে যাবে, তখন ইসরাইলি রাষ্ট্রের জন্য যে পরিণতি অপেক্ষা করছে। পানিতে ইসরাইলি পতাকার ডুবে যাওয়াটা সেটারই প্রতীকী চিত্রায়ন। ইহুদি-খ্রিস্টান চক্রটিই ইয়াজুজ ও মাজুজ, যারা আজকের দিনে পশ্চিমা সভ্যতার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সেইসাথে মুসলিম বিশ্বসহ বাদ বাকি দুনিয়ার অধিকাংশ দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তবে ঐসব দেশ এটার ব্যতিক্রম, যাদের সরকার প্যাক্স আমেরিকানা (মার্কিন সাম্রা জ্যবাদ) ও প্যাক্স ব্রিটানিকা (ব্রিটিশ সাম্রজ্যবাদ )-এর কাছে মাথা নত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইয়াজুজ ও মাজুজই প্রতারক ইসরাইলি রাষ্ট্রের সমর্থকদেরকে মানবজাতি এবং বিশেষভাবে আরবদের উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানোর খেলায় মাতিয়ে রেখেছে। আর ইয়াজুজ ও মাজুজই নিখুঁত প্রতারণার মাধ্যমে ইসরাইলি রাষ্ট্রকে তার চুড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বই-৩: মালহামা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আরমাগেডন এবং সমকালীন প্রসঙ্গ “বায়তুল মাকদিস (জেরুজালেমের) সমৃদ্ধি ইয়াসরিব (মদিনার) পতনশীল অবস্থা বয়ে আনবে, ইয়াসরিবের পতনশীল অবস্থার ফলশ্রুতিতে মালহামা (মহাযুদ্ধ) সংঘটিত হবে, মালহামার পথ ধরে কনস্টান্টিনোপলের বিজয় হবে, এবং কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ফলশ্রুতিতে দাজ্জালের খুরুজ (আবির্ভাব) ঘটবে।” (সুনান আবু-দাউদ, দারুল কুতুব ইলমিয়া, কিতাবুল মালাহিম, ৪২৯৪) বর্তমানে আমরা ঠিক মালহামার সামনে দাঁড়িয়ে আছি, যখন বৈশ্বিক রাজনীতি থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রেই ইয়াসরিব বা মদিনা শহরের উল্লেখ করার মতো ভূমিকা বা প্রভাব নেই, অথচ জেরুজালেম বৈশ্বিক রাজনীতির অন্যতম প্রধান চালক। এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে শ্রদ্ধেয় শায়খ ইমরান নযর হোসেন ক্রমাগত মুসলিমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছেন। তাঁর গ্রন্থের বিষয়বস্তু আজকাল আমরা বাস্তব সংবাদ হিসেবে পাঠ করছি। ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, আরব বসন্ত, মধ্যপ্রাচ্য, এবং বিশেষ করে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পর্যালোচনাতে তাঁর বক্তব্য পুরোপুরি সত্যে পরিণত হয়েছে, যা তাঁর আধ্যাত্মিক উচ্চতার পরিচয় বহন করে। আলোচ্য গ্রন্থে শায়খ ইমরান নযর হোসেনের বেশকিছু বক্তৃতা ও ভাষণের অনুবাদ সংকলিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী যে, এগুলো পাঠকদের জন্য উপকার বয়ে আনবে। বই-৪: সূরা-কাহাফ: মূল আরবী, তরজমা এবং আধুনিক ব্যাখ্যা সুরা কাহাফ নাজিল হয় আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ (স:) এর মদীনায় হিজরতের পূর্বে মক্কায় অবস্থানের শেষ বৎসরে। এই সূরার ছায়ায় ইহুদিবাদের ভন্ড ধর্মীয় ধারণার ঐশ্বরিক উন্মোচন ঘটে। এই সূরায় শেষ জামানায় ইহুদিদের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যার প্রতি ইংগিত করা হয়। শেষ জামনায় বিশ্ব প্রত্যক্ষ করবে ভন্ড মসীহ দাজ্জাল এবং ইয়াজুজ মাজুজ এর নৃশংস আক্রমণ যার শিকার হল শুধুমাত্র ইসলাম নয় বরং সমগ্র মানবজাতি। রহমতের নবী আমাদের জন্য এমন কিছু ভবিষ্যৎ ঘটনা প্রকাশ করেন যা আশ্চর্যজনক। যেমন, রিবা। সুদ মানুষের জীবনে এমনতর প্রভাব বিস্তারকারী হবে যে বিশ্বের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী চরম দারিদ্র্যে জীবনাতিপাত করবে। এসময় একজন দরিদ্র ব্যক্তি এ অবস্থায় মোকাবিলা করবে সে নির্দেশনা ব্যক্ত হয়েছে সুরা কাহাফের ৩২-৩৪ আয়াতে। আখেরী জামানায় ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ হবে যে, ইসলাম অনুসারে জীবনাচরন করা হবে যেন কেউ তার হাতে জ্বলন্ত কয়লা ধারন করেছে। আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন মানুষের এমন এক যামানা আসবে যে যামানায় দীনের উপর সুদৃঢ় ব্যক্তির অবস্থা হবে জ্বলন্ত অংগার মুষ্টিতে ধারণকারী ব্যক্তির মত (তিরমিযি, ২২৬৩, ই.ফা)। গুহায় অবস্থানকারী যুবকদের ঘটনা বর্তমান সময় ও সবশেষে ইসলামের বিজয়ের ইংগিতবাহী (আয়াত ১৩-২০)। এই শেষ সময়ের মানুষের মধ্যে প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন হবে ইয়াজুজ-মাজুজ (সহীহ বুখারি হাদিস নং- ৬৫৩০) তবে এই ঈমানহীন দুনিয়ায় সংশ্রব ত্যাগ করাটা সকলের দ্বারা সমালোচিত, নিন্দিত ও প্রত্যাখ্যাত হবে, এমনকি মূর্খ মুসলিম জনতাও এর অংশীদার হবে। মুসলিমদের আত্মসচেতন করারও এই তাফসীরের অন্যতম উদ্দেশ্যে। আমরা বিশ্বাস করি যে একমাত্র কুরআন পারে বর্তমান সময়ের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে। আল্লাহ তায়ালা এ বিষয়ে বলেছেন, وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْ ۖ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَىٰ هَـٰؤُلَاءِ ۚ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্মসমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম। (সূরা নাহল ১৬: ৮৯) আমরা আরো বিশ্বাস করি যে, সূরা কাহাফ হল সেই সূরা যা বর্তমান সময়ের দাজ্জাল সৃষ্ট রহস্য উন্মোচন করে আল্লাহর বান্দাদের দিতে পারে সঠিক পথের দিশা। মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে তাকে দাজ্জালের ফিতনা হতে রক্ষা করা হবে” (মুসনাদে আহমদ, ১৯৬) অপর বর্ণনায় রয়েছে, “যে ব্যক্তি জুমআর দিনে সুরা কাহাফ তেলওয়াত করবে তার জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী সময় আলোকিত হয়ে থাকে”। (মুসতাদারাকে হাকিম ২/৩৬৮) বই-৫: বর্তমান বিশ্বে আখেরী জামানার আলামত যখন আখেরী জামানা আসবে, তখন কঠিন পরীক্ষা বা ফেতনার সম্মুখীন হতে হবে। মানব জাতির প্রায় সবাই এই পরিক্ষায় ব্যর্থ হবে। যারা ব্যর্থ হবে তারা । খুব অল্প সংখক মানুষ এই পরিক্ষায় সফল হবে। যারা ব্যর্থ হবে তারা জাহান্নামে যাবে। কিন্তু আল্লাহ’র রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কিছু আলামত ঘটবে যা থেকে প্রতীয়মান হবে যে, আপনারা আখেরী জামানায় বাস করেছেন। এবং এটাই এই বইয়ের আলোচ্য বিষয়। ৫টি বই একত্রে মুদ্রিত মূল্য ১৪৬০ টাকা প্যাকেজ মূল্য ১০০০ (একহাজার)টাকা সাথে ডেলিভারি ফ্রি দেওয়া হবে। বইগুলো অর্ডার করতে ঠিকানা এবং ফোন নম্বর ইনবক্স করুন। অথবা এই নম্বরে কল করেও অর্ডার কনফার্ম করা যাবে। ০১৭১১১৭৮৩১৪, ০১৯১৫২২১৯৭৫

৳ 1,000.00

Buy Now
Add to cart

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মালহামা প্যাকেজ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top